কঠোর বিধিনিষেধের শুরুতে হাতিরঝিলে যানবাহন তেমন একটা দেখা যায়নি। তবে লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে বুধবার (২৮ জুলাই) গাড়ির চাপ অনেক বেড়েছে। এখন সারাবেলা হাতিরঝিল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িগুলো।
আজ সরেজমিনে হাতিরঝিল এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। এমনকি সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে হাতিরঝিলের গুলশান, বাড্ডা ও এফডিসি মোড়ের দিকে কিছুটা গাড়ির জটলাও দেখা গেছে।
যদিও হাতিরঝিলে প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রায় সবগুলো পয়েন্টে রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। রাস্তায় পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। যদিও বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ প্রাইভেটকার থামিয়ে পরিচয়পত্র যাচাই করছিলেন। তবে সেখানে কোনো গাড়িকে আটকে দিতে বা ফিরিয়ে দিতে দেখা যায়নি।
রাজধানীর হাতিরঝিলের রামপুরা পয়েন্টে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সার্জেন্ট বলেন, ‘আমরা তো জনগণকে কতভাবে বোঝাচ্ছি। কিন্তু তারা কোনো কথা শুনবে না। নানা অজুহাতে বের হবেই। মামলা করেও ব্যর্থ আমরা।’
সকাল সাড়ে ৯টায় হাতিরঝিল থেকে বের হতে গুলশান পর্যন্ত যানজট ছিল। রামপুরা থেকে মহানগর ব্রিজ হয়ে নিকেতন পর্যন্ত গাড়ির চাপ ছিল বেশি। সেখানে প্রাইভেটকার ছাড়াও মোটরসাইকেল ও কয়েকটি সিএনজি দেখা যায়। এসব যানবাহন দেখে বোঝার উপায় নেই যে এখন কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।
গুলশানের প্রবেশ পথে পুলিশের চেকপোস্টে গাড়ি আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্য। ধীর গতির কারণে কিছুক্ষণ পরপরই ওই এলাকায় গাড়ির জটলা বেঁধে যাচ্ছে। একই অবস্থা এফডিসির মোড় ও বাড্ডা এলাকায়।
তবে অফিস শুরুর পর হাতিরঝিলের ভেতরের রাস্তা এবং ব্রিজগুলো অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময় অনেক পথচারী পায়ে হেঁটে বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করেন। হাতিরঝিলের এ চাপ আবার বাড়বে বিকেলে অফিস থেকে লোকজন ফিরতে শুরু করলে।
এদিকে পাশের রামপুরা এলাকায় হাজীপাড়া পর্যন্ত গাড়ির চাপ বেশি দেখা গেছে। রামপুরা ডিআইটি রোডে অস্থায়ী স্পিড ব্রেকার বসিয়ে চেকপোস্ট তৈরি করা হলেও সেখানে কাউকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। সেখানে থেমে থেমে গাড়ি ও রিকশা চলায় তৈরি হচ্ছে যানবাহনের জটলা।
বিধিনিষেধের শুরুতে এইসব এলাকার চেকপোস্টগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে তৎপরতা ছিল সেটা এখন তেমন দেখা যায়নি। বেশিরভাগ গাড়ি তল্লাশি না করে চেকপোস্ট থেকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
এনএইচ/এমআরআর/এএসএম