গাজা-ইসরায়েলি সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১২ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। গত সপ্তাহে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিশুটির মাথায় গুলি লেগেছিল। পরবর্তীতে ওই আঘাত থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে গাজা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
গত ২১ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয় হাসান আবু আল-নেইল নামের ওই শিশুটি। এরপর থেকেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিল সে। অবশেষে গত শনিবার না ফেরার দেশে চলে গেছে আল নেইল। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বরের অগ্নিসংযোগের ৫২ বছর এবং ইসরায়েল ও মিসরের অবরোধ আরোপের বিরুদ্ধে গাজায় হামাস আয়োজিত এক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল সে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কমপক্ষে ৪১ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আহত হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, বেশ কিছু বিক্ষোভকারী সীমান্তের প্রাচীর বেয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল এবং তারা ইসরায়েলি সেনাদের দিকে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করেছে।
এদিকে গত বুধবার হামাসের সামরিক উইং-এর এক সদস্যও ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আহত হয়েছেন। অপরদিকে ইসরায়েলের অভিযোগ, এক ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীর গুলিতে তাদের এক সেনা আহত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তারা বিক্ষোভ থামাতে টিয়ার গ্যাস এবং সীমিত আকারে গুলি ছুড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ফিলিস্তিনি এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। পশ্চিম তীরে নাবলাসের কাছে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর নিহত হয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মঙ্গলবার ইমাদ খালেদ সালেহ হাশাশ নামের ওই কিশোর নিহত হয়েছে। বালাতা শরণার্থী শিবিরে থাকা ওই কিশোরের মাথায় গুলি লেগেছিল।
টিটিএন/জিকেএস