নেত্রকোনায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের থেকে পড়ে নিহত হয়েছেন মো. হাবিবুর রহমান (৪০) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে নেত্রকোনা-বারহাট্টা সড়কের সদর উপজেলার সতরশ্রী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত হাবিবুর রহমান বারহাট্টা থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বেতগাছিয়া এলাকায়। তিনি ২০০০ সালের ১৯ মে কনস্টেবল হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এক বছর আগে তিনি উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে বারহাট্টা থানায় যোগদান করেন। তার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ে ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে রয়েছে। গত বছরের ৩০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী মারা যান।
পুলিশ জানায়, হাবিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে দাপ্তরিক কাজ সেরে নেত্রকোনা থেকে মোটরসাইকেলে করে বারহাট্টা থানায় যাচ্ছিলেন। সতরশ্রী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিন চালিত একটি ভ্যান গাড়ির সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা ও পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ময়নাতদন্ত শেষে সকালে নিহত হাবিবুর রহমানের মরদেহ তার কর্মস্থল বারহাট্টা থানা প্রাঙ্গণে রাখা হয়। সেখানে সহকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানান। জানাজা শেষে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বেতগাছিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হবে।
নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল জানান, হাবিবুর রহমান একজন সৎ, বিনয়ী, দক্ষ ও মার্জিত পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
এইচ এম কামাল/ এফআরএম/জিকেএস