মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

জলসীমায় ‘অনুপ্রবেশ’: চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব মালয়েশিয়ার

দক্ষিণ চীন সাগরে মালয়েশিয়ার জলসীমায় চীনা জাহাজের অনুপ্রবেশের অভিযোগে কুয়ালালামপুরে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। বোর্নিও দ্বীপের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (ইইজেড) চীনের ‘উপস্থিতি ও কার্যক্রম’র প্রতিবাদ জানাতে এ তলব করেছে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, একটি সার্ভে বোটসহ চীনের জাহাজ মালয়েশিয়ান রাজ্য সাবাহ ও সারাওয়াক উপকূলে অনুপ্রবেশ করে, যা ১৯৮২ সালের জাতিসংঘের কনভেনশনের লঙ্ঘন। তবে ঘটনাটি আসলে কখন ঘটে বা কয়টি চীনা জাহাজের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের আত্মমর্যাদা ও আত্মরক্ষার্থে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক আইন মেনে ব্যবস্থা নেবে। এর আগে অন্য বিদেশি জাহাজ অনুপ্রবেশের ঘটনায়ও প্রতিবাদ জানায় দেশটি।

দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এবং ব্রুনাই। অবশ্য চীন তাদের কথিত ‘নাইন ড্যাশ লাইন’ অনুযায়ী, মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার সামুদ্রিক অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করে থাকে।

jagonews24

এই দাবির ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চীন দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত অঞ্চলে নিজেদের আগ্রাসন আরও বাড়িয়েছে। গড়ছে কৃত্রিম দ্বীপ। বানাচ্ছে সামরিক ফাঁড়ি।

দ্য এশিয়া মেরিটাইম ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ (এএমটিআই) জানিয়েছে, চীন ২৭টি ফাঁড়ি বানিয়েছে সেখানে। এটি স্কারবোরো শোলও নিয়ন্ত্রণ করে, যা ২০১২ সালে ফিলিপাইন থেকে নিজেদের দখলে নেয় চীন।

দক্ষিণ চীন সাগর হলো প্রশান্ত মহাসাগরের অংশ। এটিকে ঘিরে চীন, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের অবস্থান। দক্ষিণ চীন সাগরের ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে।

এসএনআর/এইচএ/জেআইএম



Advertiser