সাবেক স্ত্রী ও তার আইনজীবীর ফোন হ্যাক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট এ তথ্য জানিয়েছেন। একটি রায়ে আদালত বলেছেন, সন্তানদের জিম্মায় নেওয়ার লড়াইয়ে সাবেক স্ত্রীকে ‘ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকি প্রদানের ধারাবাহিক অভিযান’-এর অংশ হিসেবে ফোন হ্যাকিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন দুবাইয়ের শাসক। খবর রয়টার্সের।
ব্রিটিশ আদালত জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও’র তৈরি পেগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসেইন ও তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত কয়েকজনের ফোন হ্যাক করিয়েছিলেন আল মাকতুম। এমনকি, প্রিন্সেস হায়া লন্ডনে যে বাড়িতে থাকেন, ঠিক তার সামনেই একটি ভবন কেনার চেষ্টা করেছিলেন আমিরাতি প্রধানমন্ত্রীর লোকজন।
তবে বুধবার (৬ অক্টোবর) ব্রিটিশ আদালতের ওই রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। তার দাবি, যুক্তরাজ্যের আদালতের ওই রায় অনৈতিক ও অসম্পূর্ণ দৃশ্যপটের ভিত্তিতে তৈরি। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, দুবাই বা সংযুক্ত আরব আমিরাত কেউই এই (বিচারিক) কার্যক্রমে অংশীদার নয় এবং তারা শুনানিতেও অংশ নেয়নি। সুতরাং, তদন্তের ফলাফল নিশ্চিতভাবে একটি অসম্পূর্ণ দৃশ্যপটের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
লন্ডন হাইকোর্টে প্রিন্সেস হায়া ও তার আইনজীবী ব্যারোনেস ফিওনা শ্যাকলটন। ছবি: সংগৃহীত
আমিরাতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছি এবং করবো। এই বিষয়গুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত।
৪৭ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়া জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর সৎ বোন। ২০১৯ সালে তার সঙ্গে দুবাইয়ের ৭২ বছর বয়সী নেতা আল মাকতুমের বিচ্ছেদ হয়। স্ত্রীর সঙ্গে এক ব্রিটিশ দেহরক্ষীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে বিশ্বাস করতেন আমিরাতি প্রধানমন্ত্রী।
পরে নিরাপত্তা শঙ্কায় ১৩ ও ৯ বছর বয়সী দুই সন্তানকে নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান প্রিন্সেস হায়া। সন্তানদের জিম্মা নিয়ে সাবেক স্বামীর সঙ্গে এখনো মামলা চলছে তার।
কেএএ/এএসএম