গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭২তম বার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাইয়ের (অ্যাবকা) আয়োজনে এ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও অ্যাবকার সভাপতি মুন্সী ফয়েজ আহমদের সভাপতিত্বে এতে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন এ কামাল। ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চীন দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর ও ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং। এছাড়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অ্যাবকার সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মো. সাহাবুল হক।
বাংলাদেশ চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ঋণের ফাঁদে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বাংলাদেশের। জিডিপির অনুপাতে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ অনেক কম এবং আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ চিন্তা-ভাবনা করেই বিদেশি ঋণ নিয়ে থাকে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, আসছে দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়বে। বাংলাদেশে চীনের কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ ও দুই দেশের সরকারের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা পরিকল্পনামন্ত্রীর। একই সঙ্গে চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নিতে চীন সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে বলেও প্রত্যাশা করেন মন্ত্রী।
চীন দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর ও ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং বলেন, চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নিতে কাজ করছে সে দেশের সরকার। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ফেরত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য দেন অ্যাবকার উপদেষ্টা ও চায়না মিডিয়া গ্রুপ বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী, অ্যাবকার সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিসিসিআই) যুগ্ম-সম্পাদক মামুন মৃধাসহ আরও অনেকে।
এআরএ/জিকেএস