আইপিএলে আরব আমিরাত অংশে শুরু থেকেই দুর্বার হয়ে উঠেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও মাঝে দুই ম্যাচ হেরে আবারও নিজেদের অভিযাত্রায় যেন লাগাম টেনে ধরেছিল কেউ। শেষ পর্যন্ত তুমুল সমালোচনার মুখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে দলে নেয়া হয় সাকিব আল হাসানকে।
সাকিবের ফেরার সঙ্গে সঙ্গে জয়েও ফিরে এলো কলকাতা। হায়দবারাদকে হারিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থানটা শক্তই করে নিয়েছে কেকেআর। যদিও এখনও একটি ম্যাচ বাকি এবং ওই ম্যাচে জিততে না পারলে হয়তো কপাল পুড়বে নাইটদের।
হায়দরাবাদের বিপক্ষে সেরা ছন্দে ছিলেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ২০ রান। উইকেট নিয়েছেন ১টি এবং দুর্দান্ত ওভার থ্রোতে রানআউট করেছেন কেন উইলিয়ামসনকে। মাঠে তার উপসিস্থিতিই যেন বদলে দিয়েছে কেকেআরের পরিবেশ।
এদিকে মঙ্গলবার ৭০ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে রাজস্থান রয়্যালসকে নাস্তানাবুদ করে হারানোর পর, প্লে-অফে যাওয়ার আশা কার্যত উজ্বল হল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। রানরেটেও অনেকটাই এগিয়ে গেল মুম্বাই। তারা কলকাতা নাইট রাইডার্সের সমান ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। কলকাতার ঠিক ঘাড়েই তারা নিঃশ্বাস ফেলছে। যদিও রানরেটের বিচারে কলকাতা একটু এগিয়ে রয়েছে আপাতত। তারা চারে রয়েছে।
শেষ ম্যাচে বড় কোনো অঘটন না ঘটলে রাজস্থানকে হারাতে পারলেই প্লে-অফে চলে যাবে কলকাতা। এই ম্যাচ সামনে রেখে সাকিব আল হাসান তাই বলছিলেন, ‘আমাদের উপরেই এখন সবটা নির্ভর করছে। আশা করি, শেষ ম্যাচে সবাই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে।’ একই সঙ্গে ভক্তদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, ‘পরের ম্যাচে যদি খেলি সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করব। আর আমাদের দলের জন্য প্রার্থনা করবেন, যেন প্লে অফে যেতে পারি।’
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও সাকিব বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই সাকিবই প্লে অফে ওঠার বিষয়ে আশাবাদী। গত বছর কলকাতা তিনে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং চারে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে সমান পয়েন্ট নিয়েও রানরেটের জন্য পিছিয়ে পড়েছিল। এবার রানরেট ভাল রয়েছে। শুধু শেষ ম্যাচে রাজস্থানকে হারাতেই হবে। তা হলেই প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে।
আইএইচএস/জেআইএম