বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১

বস্ত্রখাতের উন্নয়নে সম্মাননা পাচ্ছে ৭ সংগঠন

করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের মধ্যে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন ও রপ্তানি বাড়াতে উৎসাহিত করায় এবার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাত অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেবে সরকার।

‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২১’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)।

তিনি বলেন, জাতীয় বস্ত্র দিবসের জন্য নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ ২০২১ উদযাপন করা হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায়, বস্ত্রশিল্পের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের জন্য বস্ত্রখাত সংশ্লিষ্ট সব উদ্যোগকে সমন্বিত করা এবং সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন, উদ্যোক্তা, শ্রমিক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার বহুমুখী কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে ৪ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ হিসেবে ঘােষণা করে সরকার।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্রখাতের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পােশাকখাত। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হয় এ খাত থেকে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) একটি বড় অংশ আসে বস্ত্রখাত থেকে। তৈরি পোশাকশিল্পের ক্রম-উন্নয়ন বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ জীবনে এক উল্লেখযােগ্য পরিবর্তন সাধন করেছে। বর্তমানে বস্ত্রখাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমজীবী কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ শ্রমজীবী নারী এবং এসব কর্মকাণ্ড নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বস্ত্রশিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা লক্ষ্য সামনে রেখে ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী উদযাপন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন, বাংলাদেশের উন্নয়ন’। এ উপলক্ষে আগামী ৪ ডিসেম্বর ওসমানী মিলনায়তনে বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়ােজনের উদ্যোগ নেওয়ার হয়েছে। অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও বস্ত্রখাতকে রক্ষায় অবদান রাখায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাত অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেবে সরকার।

সম্মননা পাচ্ছে যেসব অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠান
তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারদের সংগঠন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসােসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল ও লিনেন প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ) ও বাংলাদেমশজাতীয় তাঁতি সমিতি।

আইএইচআর/এমএএইচ/এএসএম



Advertiser