চুয়াডাঙ্গায় ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রয়োগ করে শামসুল শেখ নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তার পরিবারের দাবি, জীবিত অবস্থাতেই শামসুল শেখ বলে গেছেন নাতি জামাই হাসান আলী ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে সোমবার গভীর রাতে তার শরীরে বিষ প্রয়োগ করেছেন। বুধবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শামসুল শেখ (৭৫) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি ঈদগাহ পাড়ার মৃত করীম শেখের ছেলে।
নিহত শামসুল শেখের স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, বছর দেড়েক আগে দামুড়হুদা উপজেলার দলিয়ারপুর গ্রামের হাসানের সঙ্গে আমার নাতনি কমলা খাতুনের বিয়ে দিই। হাসান আলী খারাপ আচরণ ও শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে কমলা খাতুন তাকে তালাক দেন। তারপর থেকে কমলা খাতুন আমাদের বাড়িতেই থাকতেন।
৩ মাস আগে কমলাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যান হাসান আলী এবং পুনরায় বিয়ে করেন। সোমবার হাসান আমাদের বাড়িতে এলে আমাদের সঙ্গে তার তর্কবিতর্ক হয়। রাতে আমার স্বামী বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় হাসান আমার স্বামীর ঘাড়ে ইনজেকশন পুশ করে পালিয়ে যান।
কিছুক্ষণ পর আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার রাত ১টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজিদ হাসান বলেন, বিষক্রিয়ার কারণে শামসুল শেখের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শামসুল শেখের মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
সালাউদ্দীন কাজল/এফএ/এমএস