এক ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান দিলেন ২৮ রান। আর তার দল দিল্লি ক্যাপিটালস হেরেছে মাত্র ১৬ রানে। অংকের সহজ হিসেবেই বোঝা যাচ্ছে, মোস্তাফিজ যদি ওই ওভারটায় এত রান না দিতেন, তাহলে নিশ্চিত জিততে পারতো দিল্লি ক্যাপিটালসই।
দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচেই ২৩ রান দিয়ে মোস্তাফিজ নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। সে থেকে দিল্লির দলটির অন্যতম স্ট্রাইক বোলারে পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।
কিন্তু শনিবার রাতে তাকে পেয়ে দিনেশ কার্তিক যেভাবে জ্বলে উঠলেন, তা রীতিমত বিস্ময়কর। শ্রীলঙ্কার নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশের বোলারদের যেভাবে পেটালেন তিনি, সেই স্মৃতিই যেন শনিবার রাতে ফিরিয়ে আনলেন দিনেশ। মাত্র ৩৪ বলে তিনি করলেন ৬৬ রান।
১৭তম ওভার পর্যন্ত বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল দিল্লি। ব্যাঙ্গালুরুর রান তখন ছিল ১৪২। এ পরিস্থিতিতে মোস্তাফিজকে ডেকে আনেন দিল্লি অধিনায়ক পান্ত। নিজের শেষ ওভার ছিল মোস্তাফিজের। কিন্তু ওই এক ওভার থেকেই ২৮ রান নিলেন কার্তিক। ব্যাঙ্গালুরুর রান গিয়ে দাঁড়ায় ১৮৯ - এ। মোস্তাফিজের প্রথম বলটি কার্তিক মেরেছিলেন বাউন্ডারি। প্রতিটি বলকেই করেছেন সীমানাছাড়া। এর মধ্যে ছিল ২টি ছক্কার মার।
নিজেরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি দিল্লি। ১৬ রানে ম্যাচ হারতে হলো তাদের। ৩৮ বলে ওয়ার্নারের ৬৬ রানের ঝড় কোনো কাজে আসেনি। দিল্লির লেট মিডল অর্ডার কিংবা শেষের দিকের ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেনি ব্যাঙ্গালুরু বোলারদের সামনে।
ম্যাচ শেষে দিল্লি অধিনায়ক রিশাভ পান্ত জানিয়েছেন, মোস্তাফিজের ওই এক ওভারেই তারা হেরে গেছেন। পান্ত বলেন, ‘মোস্তাফিজের ওই ওভার ম্যাচ বদলে দিয়েছে। আমার ধারণা, আরেকটু পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারতাম আমরা। কিন্তু শেষ দিকে দীনেশ কার্তিক আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। এর আগেও বলেছি, আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
মাঝের ওভারগুলোতে নিজেদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন দিল্লি অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ওয়ার্নার ভালো ব্যাটিং করেছে এবং আমাদের ম্যাচ জেতার প্রতিটি করে সুযোগ দিয়েছিল। মার্শকে দোষ দেওয়া যায় না, এটি তার প্রথম ম্যাচ ছিল এবং কিছুটা কঠিন লাগছিল। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। ইনিংস যত এগোতে থাকে উইকেট ততই ভালো হতে থাকে। মুস্তাফিজুরের ওই ওভারটি আমাদের জন্য গেম চেঞ্জার ছিল।’
আইএইচএস/