পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাট নৌরুটে দুই চলন্ত ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন। এ দুর্ঘটনার পর থেকে শরীয়তপুরের সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাটে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা দিয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
রোববার (১৯ জুন) ভোর পৌনে ৪টার দিকে নৌরুটের শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের টার্নিং পয়েন্টে বেগম রোকেয়া ও বেগম সুফিয়া কামাল ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বেগম সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা গাড়িতে চাপা পড়ে নিহত হন খোকন শিকদার নামে এক গাড়িচালক। এ ঘটনায় বেগম রোকেয়া ফেরিতে থাকা শামীম হোসেন মোল্লা নামে আরেক গাড়িচালক নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহত খোকন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া চিংবাখালি এলাকার হারুন শিকদারের ছেলে। তিনি পিকাপভ্যানের চালক ছিলেন। আর নিখোঁজ শামীম ঢাকা লালবাগের ২৩নং কাজী ইয়াজউদ্দিন রোড এলাকার কাশেম আলী মোল্লার ছেলে। তিনিও পিকাপভ্যান চালক।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জামাল হোসেন ও বিআইডব্লিউটিএ সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাটের শুল্ক আদায়কারী তৌফিকুল ইসলাম।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায় জানায়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুটি ফেরির সামনের অংশ। বিকল হয়ে যায় বেগম রোকেয়া ফেরির গাড়ি ওঠানামার রেম্প। এ সময় সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা একটি গাড়িতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন। আহত হন অন্তত ১০ জন। এতে ফেরিতে থাকা ১০-১২টি গাড়ির ক্ষতি হয়।
সকাল ১০টায় বেগম সুফিয়া কামাল গাড়ি ও যাত্রী নিয়ে সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝির ঘাট থেকে শিমলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। আর বেগম রোকেয়া সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। নিখোঁজের উদ্ধারে কাজ করছে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
বেগম সুফিয়া কামাল ফেরির মাস্টার মোহাম্মদ হাসান বলেন, নদীতে প্রচণ্ড স্রোতে টার্নিংয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তাই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের জানান, ফেরি দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মরদেহ মাওয়া নৌপুলিশ ক্যাম্পে রয়েছে। আইনি পক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ছগির হোসেন/এফএ/জেআইএম