নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত কবীরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়।
তিনি বলেন, খুলনা উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে তাঁকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতেই শওকত কবীরকে নড়াইল সদর থানা থেকে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাহামুদুর রহমানকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৭ জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র নিজের ফেসবুকে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে প্রণাম জানিয়ে ছবিসহ একটি পোস্ট দেন। এ নিয়ে ১৮ জুন সকালে কলেজে এলে সহপাঠীরা রাহুলকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলতে বললেও সরাননি। সহপাঠীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। এক পর্যায়ে তিনি কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।
এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ জনতা বিকেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতারমালা পড়িয়ে প্রতিবাদ জানান।
শনিবার (২ জুন) রাত ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে কারা জড়িত বা কাদের নাম এসেছে তার বলার সুযোগ নেই। যেহেতু মামলা চলছে এজন্য কারো নাম বলা সম্ভব নয়।
হাফিজ নিলু/এসজে/জেআইএম