ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাভাষা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা। বাংলা হরফের বিস্তৃতি আরও বেশি। অসমীয়সহ বেশ কিছু ভাষায় বাংলা হরফ ব্যবহৃত হয়। অথচ এক সময় বাংলাভাষা ছিল উপেক্ষিত। বাংলাভাষা এখন পৃথিবীর সব ডিজিটাল যন্ত্রে লেখা যায়। বাংলাভাষার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে। ডিজিটাল যুগে বাংলাভাষা অন্য যে কোন ভাষা থেকে পিছিয়ে নেই।
রোববার (২৪ জুলাই) রাতে ঢাকায় বিশ্ব সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রে কবি জীবন তাপস তন্ময়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মাদ তৌফিক।
কবি অসীম সাহার সভাপতিত্বে এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর ও কবি জীবন তাপস তন্ময়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, কবিতা হচ্ছে ভাষা সাহিত্যের প্রাণ আর কবি হচ্ছেন অসুন্দরের বিরুদ্ধে সুন্দরের পূজারী। বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির কবি বলা যায়। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য বাংলাদেশ। কবি শামসুর রাহমান কিংবা হুমায়ুন আহমেদ আজ বাংলা সাহিত্যের পরিচিত নাম। অথচ এমন এক সময় ছিল যখন শরৎ কাহিনী ছাড়া বিকল্প কিছু পড়ার ছিল না আমাদের।
‘১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে বাংলাভাষা উদ্ভাবনের পর থেকে বাংলা প্রকাশনার জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচিত হয়েছে। একুশের বই মেলার স্টলগুলোতে বইসমূহে যখন আমার হাতে তৈরি বাংলা ফন্টের লেখা গুলো দেখি, আমার গর্ব হয়, আমি নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করি। দেবনাগরী কিংবা হিন্দিতেও সব ভাষা সঠিক উচ্চারণ করার সুযোগ নেই। বিদ্যাসাগর বাংলাকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। নতুন প্রজন্মের কবি–সাহিত্যিকরা পৃথিবীতে বাংলাভাষার অবস্থান আরও শক্তিশালী করবেন।’
রেজওয়ান আহাম্মাদ তৌফিক বলেন, কবিরাই আমাদের পথ দেখায়, তারাই আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে থাকেন। এ সময় কবি শ্যাম সুন্দর সিকদার কবিদের মানবতাবাদী ও আদর্শের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় অসীম সাহা বলেন, কবি–সাহিত্যিকরা একাই এক একটা প্রতিষ্ঠান। আগামী দিনে তরুণ কবিরা কবিতার রাজত্বে বিচরণ করবে। কাজের প্রতি একাগ্রতা থাকলে সফলতা নিশ্চিত। তিনি ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলা ভাষার উদ্ভাবনকে বাংলাভাষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বাংলাভাষায় বিশেষ অবদানের জন্য মোস্তাফা জব্বারের একুশে পদক পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে বলেন, যতদিন বাংলাভাষা থাকবে ততদিন মোস্তাফা জব্বারের নাম ম্লান হবে না।
এইচএস/জেএস/জেআইএম