নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য ইয়াসিন সরকারকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। এটিউয়ের দাবি— অনলাইনে সহযোগী অন্যান্য আইডির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জিহাদ এবং রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা করতেন ইয়াসিন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল কাজী বাড়ি জামে মসজিদ এলাকা থেকে ইয়াসিন সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল ফোন, তিনটি দুবাইয়ের সিমকার্ড, ৫টি ফটোকপি বই, কিছু দিরহাম (দুবাইয়ের মুদ্রা) ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। ইয়াসিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাসিন্দা।
গ্রেফতার ইয়াসিন সরকার আনসার আল ইসলামের একজন সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক। সে ও তার সহযোগীরা দেশ থেকে চলমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে যেকোনো মূল্যে কথিত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছিল। অনলাইনে তার সহযোগী অন্যান্য আইডির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে জিহাদ এবং রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা করতো। ইয়াসিন ও তার অন্যান্য সহযোগীরা ফেসবুক আইডি, মেসেঞ্জারসহ বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, হত্যা, জনমনে ত্রাস, ভীতি, দেশে অস্থিরতা, সাইবার স্পেসের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করে আসছিল। তার ফেসবুক আইডি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উগ্রবাদী মতবাদ সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে অন্যান্যদের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম পরিচালনা ও জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতো।
ইয়াসিন সরকারের বিরুদ্ধে ভাটা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান আসলাম খান।
টিটি/এমএএইচ/জিকেএস