লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম গোলাম রসুলকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি নিজেই জাগো নিউজকে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়াটার পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট-২ এর এআইজি জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে তাকে ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এপিবিএন-এ যোগদানের নিমিত্তে ছাড়পত্র নিতে বলা হয়। অন্যথায় ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তার বদলি স্ট্যান্ডরিলিজ হিসেবে গণ্য হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসি গোলাম রসুল কালীগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষকে আটকে রেখে অর্থ আদায়, সাংবাদিককে থানায় ডেকে নিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি থানায় ডেকে নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ওসি গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ এক সংবাদ সম্মেলন করে।
এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলার ইব্রাহিম ও হিমাংসুকে মাদকসহ আটকের পরও তাদের মাদক মামলা না দিয়ে নৌকা পোড়ানোর মামলায় পাঠানোর ঘটনায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন গোলাম রসুল। এর মধ্যেই তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান দফতর। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে কল দিলেও রিসিভ করেননি।
তবে বদলির বিষয়ে ওসি গোলাম রসুল বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অবশ্যই আমি প্রতিপালনে প্রস্তুত আছি।’
বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পৃথিবিতে ভালো কাজ করলেই মানুষ বাধা দিবেই।’
মো. রবিউল হাসান/এসজে/এমএস