সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

১১ দিন সাগরে ভেসে রেউনিওঁ দ্বীপে ১৭ অভিবাসী

শ্রীলঙ্কার ১৭ জন নাগরিক নিয়ে একটি নৌকা ভারত মহাসাগরে অবস্থিত ফরাসি দ্বীপ লা রেউনিওঁ উপকূলে পৌঁছেছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে তিনজন নারী এবং এক শিশু রয়েছে।

প্রবল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকার বহু নাগরিক দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কা থেকে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দূরে ভারত মহাসগরে অবস্থিত ফরাসি প্রশাসনিক বিভাগ লা রেউনিওঁতে নৌকাযোগে দেশটির নাগরিকদের আগমন অব্যাহত।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) লা রেওনিওঁ দ্বীপের সেন্ট-মেরি বন্দরের কাছে জেলেরা ‘লার্থিকা’ নামের একটি অভিবাসী বোঝাই নৌকা দেখতে পায়। নৌকাটি পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দ্বীপের গ্র্যান্ড মেরিটাইম পোর্টে নোঙ্গর করে।

একজন শিশু ও তিন নারীসহ এই ১৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী এর আগে শ্রীলঙ্কা এবং লা রেউনিওঁ দ্বীপের মধ্যবর্তী ভারত মহাসগরের ব্রিটিশ শাসিত দ্বীপ চাগোসের মার্কিন ও ব্রিটিশ নৌঘাঁটিতে অবস্থান করছিলেন। তাদের সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা ফিরে যেতে বলা হয়েছিল বলে জানায় একটি লন্ডনভিত্তিক আইনি পরামর্শক সংস্থা।

কিন্তু তারা শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে ফিরে না গিয়ে ১১ দিন সাগরে ভেসে ফরাসি ডিপার্টমেন্ট লা রেওনিওঁতে আশ্রয়ের আবেদন জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রবেশের চেষ্টা করছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে লা রেউনিওঁ কর্তৃপক্ষ এই ১৭ অভিবাসীকে উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসে। তাদের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং কাস্টমসে রুটিন যাচাইয়ের পর দ্বীপের একটি অস্থায়ী অপেক্ষা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তারা শিগগিরই শরণার্থী এবং রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত ফরাসি দপ্তরে (অফপ্রা) আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন।

অফপ্রাই সিদ্ধান্ত নেবে যে এই অভিবাসীরা ফরাসি ভূখণ্ডে আশ্রয় পাবে কী পাবে না। এর আগে চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নৌকায় দ্বীপে প্রবেশ করেছিলেন ৪৬ জন শ্রীলঙ্কার নাগরিক।

অন্যদিকে, ২০২২ সালের ৩১ শে জুলাই রেউনিওঁ দ্বীপে আসা শ্রীলঙ্কার পাঁচ নাগরিককে অবশেষে দ্বীপে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করার অনুমতি দেয় লা রেউনিওঁ দ্বীপের প্রশাসনিক আদালত।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস

এমআরএম/এমএস



Advertiser