সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

ওসিসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন শুনানি ৩ নভেম্বর

সাড়ে চার বছর আগে পুলিশের নির্যাতনে রাজধানীর তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় বর্তমান রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং ঘটনাকালীন সময়ে শাহবাগ থানায় দায়িত্বরত ওসি মো. আবুল হাসানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের শুনানির জন্য ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা এ দিন ধার্য করেন। এ দিন মামলার আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন নিহত মিলনের চাচা অলি উল্লাহ। এদিন মামলা গ্রহণের বিষয় আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিচারক পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— ঘটনাকালীন সময়ে দায়িত্বরত রমনা মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার রায়, এসআই সাইদুর রহমান মুন্সি, এসআই অমল কৃষ্ণ ও এসআই শাহরিয়ার রেজাসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪/৫ পুলিশ সদস্যেকে আসামি করার আবেদন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫(২) ধারায় এ মামলার আবেদন করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে রমনা থানা পুলিশ মিলনকে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে থানায় নিয়ে যায়। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং সেখানেও নির্মম নির্যাতন করে। পরের দিন ৭ মার্চ মিলনকে জখম অবস্থায় আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। অপরদিকে, তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড দেন। পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় বাদী তার হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম দেখতে পায়। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণের একটি টিম। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফের তার জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ডের পর থেকেই তিনি প্রচণ্ড অসুস্থতাবোধ করছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে একজন সহকারী চিকিৎসক তার শারীরিক পরীক্ষা করেন। অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠান। ঢামেকে আনার পরপরই তার মৃত্যু হয়।

জেএ/এমএএইচ/এমএস



Advertiser