সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২

সকাল থেকেই আদালতে বাড়তি নিরাপত্তা, ফটকে পুলিশ

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের মুখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সোমবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকেই আদালতে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতের প্রতিটি প্রবেশ মুখে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের নজরদারি।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।

jagonews24

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে দেখা গেছে, সকাল থেকেই পুলিশের অবস্থান। আদালতটির প্রবেশ পথের প্রধান ফটকে তালা মেরে কেবল পকেট গেট খোলা রাখা রয়েছে। এ প্রবেশপথ দিয়েই আইনজীবীরা আদালত চত্বরে যাচ্ছেন। অন্যান্য দিন এসব প্রবেশপথের ফটক খোলা থাকে। পাশের সিএমএম কোর্টের আদালতে আসা ব্যক্তিদের ব্যাগসহ গাড়ি, মোটরসাইকেল নিয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না। নজরদারি রাখা হচ্ছে সব প্রবেশ মুখগুলোতে।

আদালতের আইনজীবীরা বলছেন, সকাল থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও আগে থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা উচিত ছিল।

ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী মো. কামরুজ্জামান শেখ (তুহিন) বলেন, জঙ্গিরা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দণ্ডিত আসামিদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেবে এটা ভাবা যায় না। এতে আইনজীবীরাও নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে। আইনজীবীরাও উদ্বিগ্ন। এছাড়া এ ঘটনায় জঙ্গিরা যে শক্তিশালী এখনো সেটাই জানান দিয়েছে। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এ জঙ্গিদের দমনে এখন জোরালো পদক্ষেপ নেবে এমনটাই চাই।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পিটিশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই আদালতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আমরা নতুনভাবে চিন্তা করছি।

jagonews24

এর আগে গতকাল দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞানামা আসামি করা হয় আরও ৭-৮ জনকে।

ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় তাদের হাজিরা করা হয়েছিল। হাজিরা শেষে হাজতখানায় নেওয়ার পথে পুলিশের মুখে স্প্রে করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে থেকে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আরএসএম/এমআইএইচএস/জিকেএস



Advertiser