চলতি জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক ও বর্তমান সাতজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাস, ক্যান্সার ও বার্ধক্যজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়। এতে মৃতদের পরিবার, শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত ২৪ জুলাই ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন ইতিহাস বিভাগের সুপার নিউমারারি অধ্যাপক ড. ইমরান হোসেন।
এর আগে ২৩ জুলাই দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর হার মানেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক বাসবী বড়ুয়া।
আর ২২ জুলাই রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ভূঁইয়া ইকবাল। প্রবন্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি।
১৯ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান চবির ইতিহাস বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও চবি জাদুঘরের সাবেক কিউরেটর প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. শামসুল হোসাইন বাহাদুর।
এর একদিন আগে ১৮ জুলাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এবং চবি বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল মোস্তফা নিজ বাড়িতে মারা যান।
১৬ জুলাই মারা যান চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এ আহাদ ওসমান গনি। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত ৪ জুলাই বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. খালেদা হানুম (৮৩) নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এর মাত্র ১০ দিন আগে (২৪ জুন) তার স্বামী, চবির সাবেক উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আলী মারা যান।
গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারও। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘এই শিক্ষকদের অবদান বিশ্ববিদ্যালয় আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
এদিকে, অসংখ্য শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের প্রিয় শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক জানিয়েছেন।
রোকনুজ্জামান/এফআর/এএএইচ/জিকেএস