কুমিল্লার ঘটনা ও পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রতিবাদে এবং দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঢাকেশ্বরী মন্দির কেন্দ্রীয় পূজা মণ্ডপসহ সারাদেশে দেবালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকেশ্বরী মন্দির কেন্দ্রীয় পূজা মণ্ডপসহ সারাদেশে দেবালয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রতিবাদ সমাবেশে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদের পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি তাপস পাল বলেন, এবার সিঁদুর খেলা বন্ধ করেছি। আমরা এমন উদযাপন করতে চাইনি। কুমিল্লার ঘটনার পর কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় নানা ঘটনা ঘটেছে।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানাই। এসব ঘটনা যেন আর না ঘটে।
বাংলাদের পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী বলেন, বিশ্বের কোথাও নেই একটা উৎসবে এমন হামলা হয়। আমরা গতকাল কুমিল্লায় গিয়েছিলাম দেখতে। বিষয়টি পরিকল্পিত কি-না তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাই।
এসময় তিনি বলেন, বাঙালি উৎসব প্রিয়। তাই এটা পরিকল্পিত কাজ। যারা অপকর্ম করছে তাদের বিচার হবে কি-না এই প্রশ্নও রাখেন তিনি।
কুমিল্লার ঘটনা উল্লেখ করে সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, যারা ঘটিয়েছে তারা দুর্বৃত্ত। তারা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চায়। বিদেশিদের কাছে দেখাতে চায় সংখ্যালঘুরা ভালো নেই। তাই আমি চাই তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত যেন করা হয়। আর যারা প্ররোচনা দিচ্ছেন তাদেরও আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। কেনো দুর্বৃত্তকে এই বাংলায় যেন স্থান দেওয়া না হয়।
বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপালী চক্রবর্তী বলেন, আমরা সিঁদুর উদযাপন বাদ দিয়ে প্রতিবাদ করছি, এটা করার কথা ছিল না। আমরা এক জাতি, এক প্রাণ নিয়ে বাঁচতে চাই। আপনারা যারা সচেতন মানুষ আছেন দুর্বৃত্তদের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখুন। কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সংঘাত তৈরি করতে না পরে।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, কুমিল্লার ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করবো তারা যেন সাম্প্রদায়িকতাকে মোকাবিলা করে।
প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ সাধারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশ নেয়।
আরএসএম/কেএসআর/জিকেএস