চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের মহানন্দা নদীতে ফের তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ২৫০ পরিবার। এতে বিলীন হচ্ছে নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে শতাধিক স্থাপনা ও কৃষিজমি। গত দুই দিন আগে বেশ কিছু আম গাছ ভেঙেও পড়েছে।
ইউনিয়নটির দক্ষিণ ইসলামপুর, উত্তর ইসলামপুর ও বালুটুঙ্গি এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েকশ ঘরবাড়ি, গাছ, ফসল ও একটি মসজিদ নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। অতিবৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মহানন্দা নদীতে এ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় নদী তীরবর্তী বাড়িগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকে ঘরবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছে।
রোববার (৩১ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর এ সময় এলাকাবাসীকে চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পায়নি তারা।
এলাকার কৃষক জাইদুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে নদী ভাঙনে আমার বাড়িসহ ৫-১০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা এখন চরম হতাশার মধ্যে দিন পার করছি। দিন আনি দিন খাই। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমাদের রক্ষা করার জন্য।
সাজেদা বেগম নামে এক বৃদ্ধা বলেন, আমাদের দেখার কেউ নেই। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি আমাদের নদীভাঙন রোধে ঠিকমতো বাঁধ নির্মাণ করে দিন। আমরা সাহায্য সহযোগিতা চাই না, আমাদের নদীটাকে বেঁধে দিক এটাই চাই।
চৌডালা ইউপি চেয়ারম্যান মোহা. শাহ আলম জানান, দক্ষিণ ইসলামপুর, উত্তর ইসলামপুর ও বালুটুঙ্গি এলাকায় প্রতিবছর ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার হঠাৎ ভাঙছে হঠাৎ থেমে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে পনি কমে ভাঙন থেমে গিয়েছিল। ফের গত ৪ দিন থেকে ভাঙতে শুরু করেছে। গত পরশু দিন বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। এলাকার মানুষ খুব কষ্টে দিন পার করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান সুজনকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রকৌশলী মো. ময়েজ উদ্দিন জানান, এবারতো চৌডালা ইউনিয়নে ২-৩ বার ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ৫ দিন থেকে পানি বাড়লেও আজ কমতে শুরু করেছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় আমরা নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে আজ থেকে ভাঙন কমে আসবে।
সোহান মাহমুদ/এফএ/এএসএম