রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকেই টিকা নিতে ভিড় করছে শিক্ষার্থীরা। ফলে সেখানে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। ওই স্কুলের প্রধান শাখা মালিবাগে প্রতিদিন দুই হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন। অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আবার অভিভাবকরা এসেছেন।
সাউথ পয়েন্টের নিচতলায় রেজিস্ট্রেশন বুথ। আর তিনতলায় ৭টি টিকাদান বুথ এবং চারতলায় ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশ্রামের।
সেখানে টিকাদান কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করছেন বাড্ডা শিক্ষা থানা অফিসার আব্দুল হাকিম। তিনি জানান, বাড্ডা শিক্ষা থানায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের টিকাদান কর্মসূচি চলবে এই স্কুলে। প্রতিদিন দুই হাজার শিক্ষার্থীকে এ কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার এই কেন্দ্রে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশাপাশি খালেদা হায়দার গার্লস স্কুলের ১৯ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে।
টিকা নিতে আসা সাউথ পয়েন্টের বারিধারা শাখার শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদ বলেন, একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ায় দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তারপরও ঠিকা পাবো বলে খুশি লাগছে।
এই শিক্ষার্থী বলে, টিকা দিতে ভয় পেতাম। কিন্তু অন্যদের টিকা দেওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে বেরিয়ে যেতে দেখে এখন আর ভয় হচ্ছে না।
টিকা বুথের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক সাদিয়া ইসলাম বলেন, বাচ্চারা একটু ভয় পাচ্ছে। বুঝিয়ে বললে সমস্যা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার পর বিশ্রামের জন্য আলাদা কক্ষ রয়েছে। সেখানে তারা বিশ্রাম নিচ্ছে। কোনো ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসক এবং পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে বারিধারা থেকে আসা শিক্ষার্থীর অভিভাবক সুশান্ত কুমার রায় বলেন, স্কুলভিত্তিক ব্যবস্থা করা হলে ভালো হতো। এতে শিক্ষার্থীদের ভিড় হতো না।
এ বিষয়ে বাড্ডা শিক্ষা থানা অফিসার আব্দুল হাকিম বলেন, টিকা সংরক্ষণের জন্য এসি বুথের প্রয়োজন। এজন্য এই স্কুলে টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সোমবার (১ নভেম্বর) থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে ১২-১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি।
এদিন রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এনএইচ/জেডএইচ/জেআইএম