পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেখা গেছে একটি সাধারণ চিত্র। দুপুরে টস করতে নামছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও বাবর আজম। টস জিতে চলেছেন মাহমুদউল্লাহ আর নিচ্ছেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। তিন ম্যাচেই বাবর জানিয়েছেন, তিনি টস জিতলে আগে ফিল্ডিংই নিতেন। শেষপর্যন্ত পাকিস্তানই জিতেছেন তিন ম্যাচ।
এবার ফরম্যাট বদলে টেস্ট ক্রিকেটের লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। চট্টগ্রামের সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার শুরু হচ্ছে ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। এই সিরিজ শুরুর আগে সাগরিকার উইকেট নিয়েও ভিন্ন মত বাংলাদেশ ও পাকিস্তান অধিনায়কের।
ম্যাচের আগের দিন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক জানিয়েছেন, তার মনে হয় বরাবরের মতো ব্যাটিং সহায়ক উইকেটই হবে সাগরিকায়। অন্যদিকে বাবরের মতে, চিরচেনা স্পিনিং উইকেট বানিয়েই তাদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ দল। যে কারণে দলের দুই স্পিনারের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক।
উইকেট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় উইকেট খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট হবে, ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক হবে। আর আপনারা আরও ভালো দেখেন উইকেট। কারণ বাইরে থেকে যারা দেখে তারা আরও ভালো বোঝে। চট্টগ্রামের উইকেট সবসময় ভালো হয় ব্যাটিংয়ের জন্য।’
অন্যদিকে বুধবারের অনুশীলনে দেখার ওপর ভিত্তি করে বাবর জানিয়েছেন, টিপিক্যাল বাংলাদেশি উইকেটই হতে পারে। তবে গতকালের উইকেটে ঘাস থাকলেও তা অনেকটাই ছেটে ফেলা হয়েছে। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসার আগে তা দেখার সুযোগ হয়নি বাবরের। কেননা তখনও অনুশীলন শুরু হয়নি পাকিস্তানের।
আগেরদিনের দেখার ওপর ভিত্তি করে উইকেট সম্পর্কে বাবর বলেছেন, ‘পিচ দেখে মনে হচ্ছে টিপিক্যাল বাংলাদেশ উইকেট। ঘাস আছে কিছুটা। গতকাল (বুধবার) যা দেখেছি, ঘাস ছিল। আজকে আবার দেখব যে চূড়ান্ত অবস্থা কেমন হলো। এখানে স্পিনারদের সাহায্য থাকে। পেসাররাও শুরুতে সাহায্য পেয়ে থাকে। আমার মতে, কন্ডিশন যতটা মানিয়ে নিতে পারবো আমাদের জন্য ভালো হবে।’
এদিকে উইকেট সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুলের ধারণাই ঠিক। বরাবরের মতো রানপ্রসবাই হতে চলেছে সাগরিকার উইকেট। এই মাঠে প্রথম ইনিংসের গড় স্কোর হলো ৩৭২ আর দ্বিতীয় ইনিংসের গড়ে হয় ৩৪২ রান। আরও একবার হয়তো তেমন রানের ম্যাচই দেখা যাবে শুক্রবার থেকে।
এসএএস/আইএইচএস