কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কালী নদীতে একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ। উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কালী নদীতে সেতু না থাকায় কিশোরগঞ্জ সদর, ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় যেতে বেগ পেতে হয় স্থানীয়দের। গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশি সময় ও অর্থ খরচ করতে হয় তাদের।
তাদের অভিযোগ, উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, সাদেকপুর, মোটুপী, মেন্দিপুর গ্রামসহ পাশের শ্রীনগর ইউনিয়নের তেয়ারিচর, ভবানীপুর, বাউশমারা, জাফরনগর এবং কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের কাসকাওলা, মিরারচর ও গজারিয়া ইউনিয়নের বাশঁগাড়ি, মানিকদি গ্রামের মানুষ বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। এসব এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা। ফলে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়।
রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেতুর অভাবে দুই পাড়ের মানুষ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জন্মের পর থেকে শুনে আসছি কালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হবে কিন্তু সে স্বপ্ন কী স্বপ্নই থেকে যাবে।
সাদেকপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ডা. নুরুল হুদা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসসহ চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী চিকিৎসা নিতে কালী নদী পার হতে হয়। এ নদীতে সেতু নির্মিত হলে স্বল্প সময়ে গ্রামের মানুষ সহজেই চিকিৎসা সেবা পাবে।
সাদেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুল হক মাস্টার বলেন, কালী নদীর ওপর সেতু নির্মিত হলে দুই উপজেলার ১০টির বেশি গ্রামে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকা প্রসারিত হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সায়দুল্লাহ মিয়া বলেন, এ সরকারের আমলে উপজেলার সাত ইউনিয়নে সমানভাবে উন্নয়নমূলক কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সাদেকপুর ইউনিয়নে ১৫ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে।
আরএইচ/এমএস