মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ প্রতি বছর বন্যার পরে এবং আগে চরবাসির একটায় চিন্তা তারাপুরের খোর্দ্দার বুড়াই সাঁকোটির উপর দিয়ে সারা বছর পরিবার পরিজন নিয়ে চলাচল করা যাবে কি না। আর তখনেই দাবি উঠে সাঁকোটির সংস্কার ও মেরামতের । কে মেরামত করবে তা নিয়ে ভাবনার শেষ নাই চরবাসির। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয়দের সহায়তা, স্বেচ্ছাশ্রম, ইউনিয়ন পরিষদ, বিদ্যোৎসাহী ব্যাক্তিবর্গ ও স্থানীয় সাংসদের আর্থিক অনুদানে নিমার্ণ করা হত সাঁকোটি। চলতি বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, চর খোদ্দা, লাঠশালা, বৈরাগী পাড়া, মন্ডলপাড়া গ্রাম ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজড়া এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাই গ্রামের কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত খোদ্দার্ তিস্তার শাখা নদী উপর বুড়াইল সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। দুই উপজেলার মানুষের সেতু বন্ধনের একমাত্র ভরসা হচ্ছে সাঁকো। এছাড়া হাজারও স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং দুই উপজেলায় সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন সাঁকোর উপর দিয়ে। উপজেলার সচেতন মহলের দাবি, সরকার দলীয় এমপি না থাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া হতে বঞ্চিত উপজেলাবাসি। প্রতিটি বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষ্যমের স্বাীকার । সে কারণে প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়গুলো সরকারের নজরে নিয়ে আসা প্রয়োজন।
স্থানীয় শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নড়েবড়ে সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দুই উপজেলার কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। সাঁকো মেরামত করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে ব্যাপক হারে। উৎপাদিত ফসল নিয়ে প্রতিদিন সাঁকো দিয়ে পার হয়ে উপজেলা শহরের বাজারে যেতে হয় কৃষকদের। সে কারণে দ্রুত সাঁকাটি মেরামত প্রয়োজন।শিক্ষার্থী মেরিনা আক্তার জানান, সাঁকোর উপর দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। বর্তমানে সাঁকোটির যে অবস্থা তাতে করে যে কোন মহুতে ভেঙে পড়তে পারে।
লাঠশাশা চরের ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম জানান, সাঁকোটির উপর দিয়ে মালামাল নিয়ে যাওয়া আসা করা যাচ্ছে না। সে কারণে হাটু ও কোমর পানি পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সাঁকোটি মেরামত একান্ত প্রয়োজন।তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর সাঁকোটি মেরামত করতে হয়। তারাপুর ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি স্থানে বাঁশের সাঁকো রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ হতে সাঁকো সমুহ মোমত করা অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তার পরও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় প্রতিবছর সাঁকো সমুহ মোরমত করা হয়। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, প্রতিবছর বন্যায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সরকারিভাবে মেরামতের জন্য তেমন কোন বরাদ্দ নেই। তারপরও বিভিন্ন ভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় সাঁকো সমুহ মেরামত করা হচ্ছে।
The post চরাঞ্চলবাসির একমাত্র ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো appeared first on গোবি খবর.