৩২ বছর বয়সে অনেকের ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যায়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা দেখলো অভিজ্ঞতা, বয়স নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিপক্ক হওয়া সারেল এরউই সুযোগ পেয়ে আস্থার প্রতিদানও দিলেন।
ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সিরিজেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন বত্রিশ পেরোনো সারেল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের টেস্টে অভিষেক হওয়া এই ওপেনার করেছিলেন ১০ আর শূন্য রান। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ইনিংসে এসে ছুঁলেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার।
সারেলের সেঞ্চুরিতে ভর করেই ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বড় সংগ্রহের পথে প্রোটিয়ারা। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে তারা তুলেছে ৩ উইকেটে ২৩৮ রান।
আগের টেস্টে ইনিংস পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া ডিন এলগার এবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ওপেনিংয়ে নেমে সারেলের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়েন প্রোটিয়া দলপতি।
১১১ রানের এই জুটি ভাঙেন টিম সাউদি। ৪১ রান করে বোল্ড হন এলগার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে এইডেন মার্করামের সঙ্গে ৮৮ রানের আরেকটি জুটি গড়েন সারেল। ব্যক্তিগত ৪২ রানে নেইল ওয়েগারের শিকার হন মার্করাম।
দুই বলের ব্যবধানে সেঞ্চুরিয়ান সারেলকেও হারায় প্রোটিয়ারা। ২৯৩ মিনিট ক্রিজে থেকে ২২১ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে সারেল সাজঘরে ফেরেন ম্যাট হেনরির শিকার হয়ে।
তবে ১৯৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে দিনের বাকি সময় আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি রসি ভ্যান ডার ডাসেন আর টেম্বা বাভুমা। তৃতীয় উইকেটে তারা অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানে। বাভুমা ২২ আর ডাসেন ১৩ রানে অপরাজিত আছেন।
এমএমআর/এমএস