বিয়ের আট বছর পর একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে মারা যায় আরেকটি কন্যা শিশু। এ নিয়ে চার সন্তানের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হলো। জীবিত থাকলো কেবল একটি কন্যা সন্তান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত নয়টার দিকে মারা যায় একটি কন্যা সন্তান এবং বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে মারা যায় ছেলে সন্তানটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই শিশুদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মনিকা মজুমদার।
তিনি বলেন, গর্ভধারণের ৩২ সপ্তাহে শিশুদের জন্য হয়। এ কারণে তাদের শারীরিক ওজন কম ছিল। রোববার মারা যাওয়া ওই শিশুর ওজন ছিল ৭০০ গ্রাম। তাকে বাঁচানো যায়নি। তবে অন্য শিশুটি ভালো আছে। তার চিকিৎসা চলছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন আদুরী বেগম আশা। জন্মের পর ওই চার নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
আদুরী বেগম আশা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের স্ত্রী।
হাসপাতাল ও ওই নারীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের সঙ্গে ৮ বছর আগে বিয়ে হয় আদুরী বেগম আশার। দীর্ঘ ৮ বছরেও তাদের কোনো সন্তান হয়নি। পরে চিকিৎসা গ্রহণের পর আদুরী বেগম অন্তঃসত্ত্বা হন।
১ মার্চ আল্ট্রাসনোগ্রামে দেখা যায়, তার গর্ভে ৪টি সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রসববেদনা উঠলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রাত সাড়ে নয়টার দিকে চার সন্তানের জন্ম দেন আশা।
জিতু কবীর/এফএ/এমএস