দেশের মানুষের ওপর হামলা-মামলা-খুনসহ বিভিন্ন বিষয় গোপন করার অপরাধে সরকারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
শনিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টন কালভার্ট রোডস্থ জামান টাওয়ারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা-গ্রেফতার ও সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
এসময় গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, রাস্তায় নামলেই সরকার আমাদের ওপর আক্রমণ করে। তারা আমাদের ভয় পায়, ভয় পাওয়াই উচিৎ। কারণ, তারা জানে গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে এদেশের নেতৃত্ব দেবে। এজন্যই তাদের রাগ রাস্তায় মিটিয়ে নিচ্ছে। রাস্তায় নামলেই হামলা চালাচ্ছে। তবে যে কোনো বাধা কাটিয়ে আমরা জনগণের পক্ষে কাজ করবো।
তিনি বলেন, বিশ্বে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে শান্তিপূর্ণ মিছিলে আক্রমণ হয়। অন্যান্য দেশে এমন আক্রোশ হয় না। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে সরকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। সরকার বলছে মুদ্রাস্ফীতি ৫ শতাংশ, কিন্তু বাস্তবে এটা ১২-১৪ শতাংশ। যেটা ধামাচাপা দিতেই ভিন্নমতের ওপর হামলা।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, রমনা জোনের ডিসি হারুনুর রশিদ ওসি প্রদীপের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। একজন নোংরা পুলিশ অফিসার পুরো বাহিনীর জন্য কলঙ্ক। এর আগেও নিরীহ মানুষের ওপর হামলা, নির্যাতন করেছে। রমনা জোনের ডিসি ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন। আমরা মিছিল নিয়ে ঢাকা ক্লাবের সামনে এলেই হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের ১১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। গত বছর চারজনকে আটক করে মুখে গামছা বেঁধে, চোখে কাঁচামরিচ দিয়ে নির্যাতন করেন এই হারুন। আমরা পুলিশের বিষয়ে কোনো কথা বলিনি। তবে এমন কুলাঙ্গার-নোংরা পুলিশের প্রত্যাহারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানাই।
তিনি বলেন, পুলিশ তাদের ব্যাগে করে বোমা নিয়ে এসেছিলো। তারা কোনো অঘটন ঘটাতে চেয়েছিল। তবে আমাদের আন্দোলন কোনো বাধাই দমিয়ে রাখতে পারবে না। নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে না এলে আগামীতে মন্ত্রণালয় ঘেরাও হবে।
এসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি জানান ডাকসুর সাবেক এ ভিপি।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, পূর্ব নির্ধারিত মিছিল প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে সেচ্ছাসেবক লীগ মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতাকর্মীরা আগেই অবস্থান নেয়। মিছিলটি শাহবাগের দিকে গেলে শাহবাগ থানা পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে হতে পারে না। নিত্যপণ্যের দাম বাড়া নিয়ে একইদিন পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা চালায়। পুলিশ এখন যুবলীগের ভূমিকায়, যা হতাশার।
ইএআর/এমকেআর/এএসএম