প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে ঈদের শেষ সময়ে এসে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। দোকান পাটে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের।
জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তারাবির নামাজের পর শহরের রাস্তাঘাট ও বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ঢল নামে। এক সময় অতিরিক্ত মানুষের চাপে শহরের পশ্চিমবাজার এলাকার রাস্তাঘাট অচল হয়ে যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, বেচাকেনা ভালো হওয়ায় করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন তারা।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ পণ্যর দাম বেশি। এতে পরিবার পরিজনের চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
ঈদের বাজার করতে আসা সানাউল হকের সঙ্গে কথা হয় মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিম বাজার ‘হোয়াইট সল’ বিপণী বিতানের সামনে।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, শুক্রবার ভিড় হবে না মনে করে বাজারে এসে দেখি মানুষ উপচে পড়ছে। কেনাকাটার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। দাম বেশি, কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছি।
বিপণী বিতান ‘বিলাশ’র সামনে কথা হয় হাছনা বেগমের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কেনাকাটা করতে এসে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় বিরক্তিকর। দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে অনেক্ষণ।
বিলাশ’র বিক্রয়কর্মী টিপু খন্দকার জাগো নিউজকে বলেন, বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। করোনার কারণে গত কয়েকটি ঈদে মন্দা ছিল। এবারের ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের জোয়ার নেমেছে। মহাজনদের লগনি হচ্ছে।
শহরের পশ্চিমবাজারের হোয়াইট সল বিপণী বিতানের স্বত্বাধিকারি মো. মোবারক জাগো নিউজকে বলেন, বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতিও ভালো। আমরা প্রতিদিন মধ্যরাত পর্যন্ত দোকানে সময় কাটাই।
ঐতিহ্যবাহী বিপণী বিতান বিলাশের মালিক পক্ষের সুমন জানান, করোনায় ব্যবসার তছনছ অবস্থা ছিল। এবারের ঈদে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। বাজার দরের কারণে কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি। তবুও আমরা চেষ্টা করি যেন ক্রেতারা বিরক্ত না হন।
আব্দুল আজিজ/এফএ/এমএস