রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মুরগির দাম। সেই সঙ্গে কমেছে বেশ কিছু সবজির দামও। তবে চাল-ডাল, ডিম, তেল ও মাছ-মাংস আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতোই ১৯৮ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ২০০-২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হলেও মঙ্গলবার তা ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাকিস্তানি ও দেশি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। বাজারে দেশি মুরগি ৪৭০-৪৮০ টাকা, পাকিস্তানি ২৭০-২৮০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, গরু ও খাসির মাংসের দামে কোনো সুখবর নেই। গত সপ্তাহের মতো গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, গত দুই সপ্তাহের তুলনায় আমদানি বেড়েছে। এ কারণে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে আমদানি কমে গেলে দাম আবার বাড়বে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি টমেটো ৫-১০ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকা, গাজর ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০ টাকা, করলা ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৪৫ টাকা, শসা পাঁচ টাকা বেড়ে ২৫-৩০ টাকা, চিকন বেগুন ৫-১০ টাকা কমে ৪০-৪৫ টাকা, গোল বেগুন আগের মতোই ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১৫-২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০-৮০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪০০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা ৩০-৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৫-১০ টাকা কমে ২৫-৩০ টাকা, কচুর লতি ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৩৫-৪০ টাকা, পটল পাঁচ টাকা কমে ৩০-৩৫ টাকা, সজনে ১০-২০ টাকা বেড়ে ১১০-১২০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, চালকুমড়া আকারভেদে ৩০-৩৫ টাকা, ঝিংগে গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা কমে ২০-২৫ টাকা, কাঁকরোল আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, সবধরনের শাক ১৫ টাকা আঁটি এবং দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা ও রসুন আকারভেদে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির ডিম হালিপ্রতি খুচরা বাজারে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের তুলনায় ১ থেকে ২ টাকা বেড়ে ১৭-১৮ টাকা ও শিল আলু ৩২-৩৪ টাকা এবং ঝাউ আলু ৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা মিলন মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়নি। এ কারণে সবজির আমদানি বেড়েছে। মৌসুম অনুযায়ী যেসব সবজির উৎপাদন হয় তার দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, খোলা চিনি আগের মতোই ৮৫ ও প্যাকেট ৮৬-৮৮ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১০ টাকা বেড়ে ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট ও খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৬৮ টাকা প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বর্ণা (মোটা) এখন ৪৮-৫০ টাকা, বিআর২৮ (পুরাতন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর-২৮ (নতুন) ৫৪ টাকা, মিনিকেট ৬৮ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৮-৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের চাল বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, চালের ভরা মৌসুমেও আমদানি কম থাকায় দাম বাড়ছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছ আকারভেদে ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, শিং ৩৫০-৪০০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৭০ টাকা, কাতলা ২৫০-২৮০ টাকা, সরপুঁটি ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এমআরআর/জিকেএস