সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২

মঙ্গলবার বিসিবির এজিএম, আসছে বেশ কিছু পরিবর্তন

এবার আর নির্বাচন নেই। তাই বিসিবি এজিএমের আগে নির্বাচনী উত্তাপ, শোরগোল, মাতামাতি ও উত্তেজনাও নেই। কাউন্সিলরদের খুশি করে পক্ষে টানারও কিছু নেই। সেটা হয়ে গেছে গতবার। এখনকার বিসিবি পরিচালক পর্ষদ সেই নির্বাচনেরই ফসল। ভোটার তথা কাউন্সিলরদের বাড়তি ডিমান্ডও ছিল গত এজিএমে।

গত বছর এজিএমে কাউন্সিলরদের জন্য নগদ অর্থ ছাড়াও ল্যাপটপ বরাদ্দ ছিল। এবার আর অমন কিছু নেই। কাউন্সিলরদের একটি করে মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। মোদ্দা কথা, এবারের এজিএমে সে অর্থে কউন্সিলরদের নিয়ে অতো মাতামাতি নেই। এবারের বিসিবি সাধারণ সভা তাই একদম সাদামাটা, এতটুকু প্রাণচাঞ্চল্য নেই। এক কথায় নিয়মরক্ষার বার্ষিক সাধারণ সভা।

আগামীকাল (মঙ্গলবার) ঢাকার হোটেল সোনারগাঁ প্যান প্যাসিফিকে হবে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা বিসিবির এজিএম। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শুরু হবে এবারের এজিএম কাযক্রম। এবারের এজিএমে গঠনতন্ত্রে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। কিছু বড় ধরনের সিদ্ধান্তও হতে যাচ্ছে।

কাউন্সিলরদের কাছে এরই মধ্যে যে সংশোধিত গঠনতন্ত্র পাঠানো হয়েছে, তাতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সেগুলো কালকের বার্ষিক সভায় অনুমোদিত হয়ে যাবে। এর মধ্যে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি উল্লেখ্যযোগ্য।

প্রথমত, আঞ্চলিক ক্রিকেট অধিদপ্তর। দীর্ঘদিন ধরে যে আঞ্চলিক ক্রিকেট অধিদপ্তর বা অ্যাসোসিয়েশনের কথা বলা হচ্ছে, তা তৈরির কার্যকর উদ্যোগের কথা শোনা যাচ্ছে, প্রক্রিয়াও চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আলোর মুখ দেখেনি। ভাবা হচ্ছে এবারের এজিএমে আনুষ্ঠানিকভাবে পাশ হয়ে যাবে এই আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলো।

জানা গেছে, প্রতি বিভাগের কাউন্সিলররা মিলেই নিজেদের বিভাগীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সাজাবেন। যেমন ঢাকা বিভাগের কাউন্সিলর ও ঢাকা বিভাগ থেকে নির্বাচিত পরিচালকদের দিয়ে ঢাকার; চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর বিভাগের কাউন্সিলর-পরিচালকদের দিয়ে তৈরি হবে ঐ বিভাগীয় ক্রিকেট এসাসিয়েশন।

এর বাইরে ঢাকার ক্লাবগুলোর কাউন্সিলরশিপেও আসছে রদবদল। মাঝে কয়েক বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে খেলা ছয় দল থেকে দুজন করে কাউন্সিলর হতেন। মানে লিগের ১২ দলের শীর্ষ ছয় দলের ২ জন করে ও বাকি ৬ দলের একজন করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারতেন। এতে করে সুপার লিগে ওঠার একটা বাড়তি তাগিদ থাকতো। সেই তাগিদ থেকে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংসহ নানারকম সুবিধা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে নানা সময়।

এতে দেশের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ৫০ ওভারের আসরটির গায়ে কালো চিহ্ন লেগেছে। এখন সেই বাড়তি কাউন্সিলরশিপ থাকছে না। আনুষ্ঠানিকভাবে তা বাতিলের প্রস্তাব আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেটিও এজিএমে পাশ হয়ে যাবে। অর্থাৎ প্রিমিয়ার লিগের ১২ ক্লাবের আর বৈষম্য থাকবে না। সুপার লিগের ছয় দল বাড়তি সুবিধা পাবে না। সব দল থেকে একজন করে কাউন্সিলর থাকবেন।

এআরবি/এসএএস/জিকেএস



Advertiser