গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে শিক্ষক দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের তিনদিনেও কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নিহতদের নিজ স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। অপরদিকে টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক দম্পতিকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে বলে দোষীদের বিচারের দাবি করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার না করলে মহাসড়ক অবরোধসহ গাজীপুর অচল করার ঘোষণা দেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপকমিশনার (এডিসি) হাসিবুল আলম এ সময় এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় প্রাইভেটকার থেকে এ কে এম জিয়াউর রহমান (৫১) ও তার স্ত্রী মোসা. মাহমুদা আক্তার ওরফে জলির (৩৫) মরদেহ পাওয়া যায়। জিয়াউর গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মাহমুদা টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। নিহত স্কুল শিক্ষকের বড় ভাই আতিকুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আমিনুল ইসলাম/এফএ/এমএস