সাতক্ষীরায় নিহত চা বিক্রেতা ইয়াছিন আলির মরদেহ উদ্ধারের চারদিন পর পাওয়া গেছে খণ্ডিত মাথা। এ ঘটনায় জাকির হোসেন (৫০) নামের এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করে র্যাব। পাওনা টাকা না দেওয়ায় ইয়াছিনকে হত্যা করেন ওই ব্যক্তি।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোসতাক আহমেদ এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, শনিবার জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি খুলনায়। তবে সে সাতক্ষীরা পৌর শহরের গড়েরকান্দা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকে। পাওনা টাকা না দেওয়ায় জাকির একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তার দেওয়া তথ্যে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের একটি ব্রিজের তলা থেকে নিহত ইয়াছিনের খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়।
জাকিরের বরাত দিয়ে মোসতাক আহমেদ বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনের একটি চায়ের দোকানের মালিক ইয়াছিন আলির সঙ্গে জাকির হোসেনের বন্ধুত্ব ছিল। ব্যবসার কথা বলে ইয়াছিন জাকিরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করায় জাকিরের সঙ্গে গত সপ্তাহে ইয়াছিনের ঝগড়া হয়। প্রতিশোধ নিতে ফন্দি আঁটেন জাকির।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গোলযোগপূর্ণ জায়গায় স্থাপনা নির্মাণে রাজমিস্ত্রির কাজ করার কথা বলে মঙ্গলবার রাতে ইয়াছিনকে বাইপাস সংলগ্ন বকচরা মোড় এলাকায় নিয়ে গল্প করতে থাকেন। মধ্যরাতে আশপাশের কেউ না থাকার সুযোগে ইয়াছিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন জাকির। দেহ পাশের একটি ঘেরে আর মাথা এক কিলোমিটার দূরে ব্রিজের নিচে ফেলে পালিয়ে যা তিনি। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে জাকিরকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
৩১ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের বকচরা এলাকায় বাইপাস সড়কের পাশে একটি জলাশয় থেকে চা-বিক্রেতা ইয়াছিন আলির মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আহসানুর রহমান রাজীব/এসজে/জেআইএম