বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বুধবারও সারাদেশে বৃষ্টি, কোথাও হতে পারে অতিভারি

মঙ্গলবারের মতো বুধবারও সারাদেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভারতের স্থলভাগে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টির প্রবণতা গত দুদিন ধরে বেশি। ভারত ও বাংলাদেশে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে যাবে সুস্পষ্ট লঘুচাপ।

সুষ্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বৃষ্টির প্রবণতা বৃহস্পতিবার থেকে কিছুটা কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

jagonews24

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আট বিভাগেই তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। এসময় সবেচেয়ে বেশি ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এছাড়া বগুড়ায় ১১৭, হাতিয়ায় ১২১, টাঙ্গাইলে ৯৮, সীতাকুণ্ডে ৯৭, চট্টগ্রামে ৯৩, বদলগাছীতে ৮৯, সন্দ্বীপে ৮৯, খেপুপাড়ায় ৮৮, ভোলায় ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এসময়ে ঢাকায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে কম ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে শ্রীমঙ্গলে।

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল শ্রীমঙ্গলে। বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজারহাট ও হাতিয়ায়, এ দুটি স্থানে ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

jagonews24

এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে।

সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি প্রতিবেদনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দুই ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

আরএমএম/এমকেআর/এমএস



Advertiser