১০০ সেতু তৈরির লক্ষে কাজ করছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরই মধ্যে নির্মাণ করেছেন ৪২টি সেতু।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে নির্মাণ করা ৪২তম সেতুটি দুইজন প্রবাসীকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছেন তিনি।
এসময় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ১০০ সেতু নির্মাণ করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চাই। এ রেকর্ডকে যত বড় করা যায়। একটি খালে সামান্য সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পাকুড়িয়া গ্রামের শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হতো। এখন খালটিতে পানি নেই। কিন্তু বর্ষায় এটি একটি নদীর মতো হয়ে যায়। ছোট সেতুটি গ্রামবাসীর জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। ফসলাদি আনা নেওয়ার জন্য এতদিন তাদের খুব কষ্ট হতো। তাই মানুষের কষ্ট লাঘব করতেই সেতুটি নির্মাণ করেছি।
৪২তম সেতুটি মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা আলহাজ্ব শাহ আজম উদ্দিনের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। যিনি এদেশের ৫০০ মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন। তার মেয়ে আমেরিকার নিউজার্সির কাউন্সিলর উইমেন শেফা উদ্দিন ব্রিজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। আর সেতুটির উদ্বোধন করেন চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা ইংল্যান্ড প্রবাসী মামুন চৌধুরী। তিনি যুক্তরাজ্যে সফলতার জন্য ব্রিটেনের রাণীর কাছ থেকে দুইবার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
সেতু উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি শেফা উদ্দিন বলেন, আমার বাবার নামে সেতুটি ডেডিকেট করায় আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছি। ব্যারিস্টার সুমন যেভাবে মানুষের জন্য কাজ করছেন, তেমনিভাবে আমিও কাজ করতে চাই। সবারই ব্যক্তি পর্যায়ে মানুষের সেবায় যুক্ত হওয়া উচিত।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী মামুন চৌধুরী বলেন, এটি একটি ভালবাসার সেতু। ছোট হলেও এ এলাকার মানুষের জন্য এটি অনেক বড় পাওয়া। সুমনের সঙ্গে যে মানুষের অন্তরের সম্পর্ক রয়েছে, তা এখানে এসে দেখলাম। সব মানুষেরই সফলতা আছে। এ সফলতাকে তখনই সফল বলা যায়, যখন তা সবার মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/জেএস/জেআইএম