হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈশ্বরদীর জনজীবন। ভোর থেকেই বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে ঝরছে কুয়াশা। দুপুর ১২টায়ও সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে চরম দুভোর্গে পড়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষরা।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ঘন কুয়াশায় সড়কগুলোয় যানবাহন চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন চালকরা। দুর্ঘটনা এড়াতে যানচালকদের হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে দেখা যায়।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এ তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের চেয়ে আজ তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বেশি থাকলেও হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শহরের অটোরিকশা স্ট্যান্ডের সিরিয়াল মাস্টার ইতি খান জাগো নিউজকে বলেন, ভোর ৬টা থেকে এখানে ডিউটি করছি। ভোরে ঘন কুয়াশায় অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল চারিদিক। ১০ হাত দূরে দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশা বৃষ্টির মতো ঝরছিল। হিমেল বাতাসে থরথর করে কাঁপছিলাম। সকাল সাড়ে ১০টার পর কুয়াশা কমতে শুরু করলেও শীতের তীব্রতা কমছে না।
ভ্রাম্যমাণ ছোলা বিক্রেতা শাহাদত হোসেন বলেন, শীতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বেচাকেনা নেই। শহরের মানুষজনের আনাগোনা খুব কম। শীতে সবার অবস্থায় খারাপ।
স্কুলশিক্ষিকা সুলতানা পারভীন জাগো নিউজকে বলেন, অন্যদিনের তুলনায় আজকে কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে শীত বেশি অনুভব হচ্ছে। ভোর থেকে কুয়াশা টিপটিপ করে বৃষ্টি মতো পড়ছে। এতে রাস্তায় বেরিয়ে অনেকেই কুয়াশায় ভিজে গেছেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল ইসলাম রঞ্জন জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভব হচ্ছে।
শেখ মহসীন/এমআরআর/জেআইএম