উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই। টানা প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
তার মৃত্যুতে সুরের রাজ্যে শোক লেগেছে। তার প্রয়াণের বিষাদ বেদনা জাগিয়েছে বাংলাদেশের মানুষের অন্তরেও। লতা এদেশের মানুষের কাছেও সমাদৃত, খুবই জনপ্রিয়। গান ছাড়াও তার ব্যক্তিত্ব, ব্যক্তি জীবন এদেশের মানুষকে মুগ্ধ করেছে।
লতাও বাংলাদেশ ও এখানকার সংগীত ভালোবাসতেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের এক টুইট বার্তায় জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন স্থানে গান পরিবেশন করেছিলেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর।
সে ঘটনা নিয়ে লতা মঙ্গেশকর নিজেও টুইটারেও একটি বার্তা প্রকাশ করেছিলেন। সে বার্তায় তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে এসে গান গাওয়ার স্মৃতিচারণা করেন। সেই টুইট বাংলাদেশিদের কাছে সাড়া ফেলেছিল।
টুইটটি লতা করেছিলেন ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। সেখানে তিনি জানান, ১৯৭১ সালে অজন্তা শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা সুনীল দত্তের নেতৃত্বে এই সফরে বাংলাদেশে এসে অনেক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তার জন্য ভারতীয় শিল্পীরা এগিয়ে আসেন। সে সময় লতা মঙ্গেশকর ছাড়াও আশা ভোসলে, কিশোর কুমার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মোহাম্মদ রফি, মান্না দে, সলিল চৌধুরী প্রমুখ বাংলাদেশের জন্য সংগীত পরিবেশন করেন।
এলএ/জেআইএম