নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়। তবে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সেই নোটিশের দায়সারা জবাব দিয়েছেন।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নৌকার মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষরিত একটি পত্র জমা পড়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে।
নির্বাচন কার্যালয়ের নোটিশের জবাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘নির্বাচনে আচারণবিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য ও ভিত্তিহীন। এ ধরনের কোনো বক্তব্য আমি কথাও বলিনি। আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী বা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে ও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে হীন অপচেষ্টায় মিডিয়ার সম্পন্ন কারসাজি।’
এর আগে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন গত ২ জানুয়ারি বানেশ্বর ইউনিয়নে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ এর ৩১ বিধি অনুযায়ী কেন আপনার (নৌকা প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাপত্র প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিবেন।’
কারণ দর্শানো নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার ছেলেরা গতকাল বিকেলে ওইটা (শোকজ নোটিশের জবাব) জমা দিয়েছে। তারাই বলতে পারবে। তাছাড়া আমি এখন ব্যস্ত আছি। আমি কথা বলতে পারছি না। পরে কথা বলবো।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলছেন, বানেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি অফিসে জমা দিয়েছেন। তিনি চিঠিতে তার অপরাধ স্বীকারই করেননি। তারপরও আমি আজ (মঙ্গলবার) তাকে ও তার সকল প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়েছি। আগামীতে এধরনের কোনো ঘটনা চোখে পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও নির্বাচনে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা দুর্নীতি বা অন্যায় কিছু না হয় সে লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাচন কমিশনের সকল কর্মকর্তাদের সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ আগামী ৫ জানুয়ারি। সেই নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি গত শুক্রবার তার নির্বাচনী এলাকার একটি সভায় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন, নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল না দিলে ভোটারররা যেন কেন্দ্রে ঢুকতে না পারেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে।
তার এমন নির্বাচন পরিপন্থী আচরণ নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
ফয়সাল আহমেদ/এফএ/জেআইএম